কিভাবে ই পাসপোর্ট এর আবেদন করবেন

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম

বর্তমান পৃথিবীতে একজন মানুষ তার জীবিকা নির্বাহ,পড়াশোনা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবার পরিজন ও বন্ধুদের সাথে দেশের বাহিরে ভ্রমণ করে থাকেন। দেশের বাহিরে ভ্রমণ করতে নিলে সবার আগে যেটি প্রয়োজন পড়ে সেটি হচ্ছে পাসপোর্ট। আজ আমরা পাসপোর্ট করার উপায় থেকে শুরু করে এ সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো।

ই পাসপোর্ট করার উপায়: কোথায় করবেন? কী কী লাগবে?

বিদেশ ভ্রমণে প্রথমে যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হল “পাসপোর্ট”। পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া অনেকের কাছে বেশ জটিল মনে হলেও আসলে এত জটিল কিছু নয়।

পাসপোর্ট মূলত দুই প্রকার :-

১. ই পাসপোর্ট ( ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট)

২. এম আর পি পাসপোর্ট ( মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট)

বর্তমানে বাংলাদেশে দুটি পাসপোর্ট চালু রয়েছে কিন্তু তার মধ্যে সবচেয়ে সহজলব্য এবং জনপ্রিয়  হচ্ছে ই পাসপোর্ট। আজ আমরা জানব ই পাসপোর্ট এর জন্য তার ডকুমেন্টস ও ফি কোথায় এবং কিভাবে জমা দিতে হয়।

এবার আসুন এই পয়েন্টগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই

পাসপোর্ট করার নিয়ম
পাসপোর্ট করার নিয়ম

পাসপোর্ট করার নিয়ম

প্রথম থেকে শুরু করা যাক।
ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখে এবং ফেসবুকে (ই-পাসপোর্ট) নামে গ্রুপ থেকে পাসপোর্ট বিষয়ে বিভিন্ন জ্ঞান অর্জন করার পর, নিজেই মোবাইল থেকে ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করি।

প্রথমে ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইট থেকে নিজের একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে একাউন্ট করে নিবেন। অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই হওয়ার পরে আপনি এই একাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ ৬টি পাসপোর্ট এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।

NIDতে যেভাবে আপনার নাম আছে সেভাবে দিবেন, কিন্তু NIDতে ডট থাকলেও পাসপোর্ট আবেদনে কখনো ডট দিবেন না। (ডট দিলে ভিসা পেতে সমস্যা হতে পারে)

ভুলে ডট(.) দিয়ে ফেললে ফিঙ্গার দেওয়ার সময় বলবেন ডট উঠাইয়া দিতে।
(আমি নিজেও ডট দিয়ে ফেলেছিলাম যেটা আগে জানতাম না, তবে ফিঙ্গার দেওয়ার সময় আমি ডট উঠায় দিতে বলেছিলাম)

পিতামাতার এনআইডি নাম্বার দিবেন না।

আবেদনের সময় সিডিউল মানে ফিঙ্গার দেওয়ার ডেট এবং উপস্থিত টাইম দিবেন। এখানে আমার একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ধরুন আপনি সময় দিয়েছেন 13 তারিখ সকাল ১২ টা। তো আপনি ভাবছেন সকাল সকাল গিয়ে ফিঙ্গার দিয়ে চলে আসবেন? আপনি লাইনে দাড়ালেন সকাল ১০ টায়। একঘন্টা পর আপনি ফিঙ্গার দেওয়া রুমে গেলেন। কিন্তু তারা আপনার ফিঙ্গার নিবে না, কারণ আপনি চাইলে আপনার নির্ধারিত সময়ের পরে গিয়ে ফিঙ্গার দিতে পারবেন কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে আপনার ফিঙ্গার তারা নিবে না এটা তাদের নিয়ম।

(একঘন্টা যাবত লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পুরো পরিশ্রম টাই আপনার বৃথা গেল, আবার লাইনে দাঁড়াও,
*পুলিশ ভেরিফিকেশনে কখনো ফোনে কোন ডকুমেন্টস শেয়ার করবেন না, অবশ্যই মনে রাখবেন পুলিশ আপনার সাথে দেখা করতে চাইবে এবং ডকুমেন্টস চাইবে সে বলে দিবে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে।

আমার কি কি ডকুমেন্টস লেগেছিল?

এপ্লিকেশন ফর্ম(যদি আপনি অনলাইনে সাবমিট করেছেন সেটা প্রিন্ট করতে হবে )
এপ্লিকেশন সামারি (এটা আপনাকে ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে)
পেমেন্ট স্লিপ (চেষ্টা করবেন অফলাইনে দেওয়ার জন্য।আমি সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পেমেন্ট করেছি)
নিজের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি। ফিঙ্গার এবং পাসপোর্ট নেওয়ার সময় ডেলিভারি স্লিপ এবং নিজের অরিজিনাল NID কার্ডটা নিয়ে যাবেন।
পাসপোর্টে বিবাহিত উল্লেখ করলে স্বামী/ স্ত্রীর NIDএর ফটোকপি।
আপনার সকল এডুকেশনাল সার্টিফিকেট
আপনি যে এলাকায় থাকেন সেই এলাকার চেয়ারম্যানের নাগরিক সত্যায়নপত্র। (যদি অস্থায়ী এবং স্থায়ী দুটো জায়গা হয় তাহলে দুই জায়গার সত্যায়নপত্র লাগবে)
পেশা যদি চাকরিজীবী দিয়ে থাকেন তাহলে যে কোম্পানিতে জব করেন সেই কোম্পানির একটি NOC লাগবে মানে (no objection certificate)
আপনি যদি পাসপোর্টে বিবাহিত উল্লেখ করেন তাহলে অবশ্যই আপনার কাবিননামার ফটোকপি লাগবে।

এখন বলি কত টাকা খরচ

সরকারি ফি ৫৭৫০
পুলিশ ভেরিফিকেশন(অস্থায়ী ৫০০+স্থায়ী ১০০০)
টোটাল খরচ =৭২৫০+আসা যাওয়া খরচ।

(সর্বশেষ একটি কথা বলব আপনার যদি সকল ডকুমেন্টস ঠিক থাকে তাহলে আপনি নিজে আবেদন করুন। পুরো লেখাটা আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করলাম। ভুলভ্রান্তি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকে এ পর্যন্তই আল্লাহ হাফেজ)

Have question about this university?

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *

    Reviews & Testimoinal

    Apply Online